স্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ের শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান।
২৭ মে (বৃহস্পতিবার) এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘কোনো জাতি মনের মধ্যে ন্যায়বিচারের আকাঙ্খা ধারণ করলে সামরিক অভিযান তাদেরকে পরাজিত করতে পারে না।
‘পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ ন্যায়বিচার চেয়েছিল। আমরা অভিযান শুরু করলে, তারা স্বাধীনতার জন্য লড়ে। অনেকেই বলেছিল, ওরা গরিব ভূখণ্ড, সাইক্লোন হলে ওদের সাহায্য পাঠাতে হয়। কিন্তু আজকে উন্নয়নের দিক দিয়ে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।’
ইমরান বলেন, ‘শাহবাজ সরকারের সাম্প্রতিক অবিচারের কারনে পিটিআইয়ের সমর্থক বেড়েছে। আর তাই পিটিআইকে নিশ্চিহ্ন করে তারপর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে শাহবাজ সরকার। জনগণ রাস্তায় নামছে না, কারণ তারা আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমেই শাহবাজ সরকারকে শিক্ষা দিতে চায়।’
গত ৯ মে দুর্নীতির মামলায় ইমরানের গ্রেপ্তারের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানে। এরপর তার দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জেল থেকে বের হওয়ার পর ওই সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পদত্যাগ করেন ফাওয়াদ চৌধুরী, মুসাররাত পারভেজ চিমার মতো পিটিআইর বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানে সহিংসতার পর এ পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি নেতা ও আইনজীবী ইমরানের দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
দলের নেতাদের পদত্যাগের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছেন ইমরান। তার অভিযোগ, সেনাবাহিনীর ধরপাকড় ও চাপে পড়ে নেতারা পদত্যাগ করছেন।
Development by: visionbd24.com