আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্তদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ একাত্তর ফাউন্ডেশন আয়োজিত ঐতিহাসিক আগরতলা মামলায় অভিযুক্তদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন-তারা দেশের সূর্য সন্তান, তাদেরকে স্বীকৃতি না দেয়া হলে এটা হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার অভিযুক্তদের মুক্তির ৫০ বছর পূর্তি পালন করা হয়। তিনি জানান-গণআন্দোলনের মুখে পাকিস্তান সরকার আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু দিবস ও ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার অভিযুক্তদের মুক্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সম্মাননা ও আলোচনার আয়োজন করে একাত্তর ফাউন্ডেশন।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি ব ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাকে নিয়ে নানা স্মৃতিচারণের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু উপাধিতে বলা হয় তার দু হাত ধরেই মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তোফায়েল বলেন, বাঙালি জাতি এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। অনুষ্ঠানে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্তদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা দেয়ার পর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা দেয় আইয়ুব খান। ফুঁসে ওঠে পুরো জাতি। গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। চলতে থাকে লাগাতার আন্দোলন। আসাদের মৃত্যু, মিছিলে গুলি করে কিশোরছাত্র মতিউরকে হত্যা, রাজবন্দী সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার পর এ আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে।
১৯৬৯ এ দিনে তৎকালীন রোসকোর্স ময়দানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের গণসংবর্ধনায় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। আর ২৩ ফেব্রুয়ারি, আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, সেদিনের রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবকে গণসংবর্ধনা দেয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সে সভা থেকেই তাকে দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু উপাধি।
Development by: visionbd24.com