বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্ববাসীর ধারনা বদলে গেছে— সবাই এখন বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আর পথ হারাবে না বাংলাদেশ। সোমবার সকালে মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রক্কালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক নাগরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রাপ্তদের হাতে তুলে দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই তার সরকার কাজ করছে বলে এ সময় জানান শেখ হাসিনা। দেশের কল্যাণে যারা কাজ করছেন, তাদের খুঁজে বের করার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের স্বাধীনতা, সমাজ সেবা, দারিদ্র্য বিমোচন, চিকিৎসা ও গবেষণাসহ দেশের কল্যাণে অবদান রাখার জন্য এ বছর ১৩ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে স্বাধীনতা পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহার করে, বিভিন্ন ফসলের নতুন জাত উদ্ভাবনের জন্য বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ বছর স্বাধীনতা পদক লাভ করে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, স্বাধীনতার সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেয়া তার সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। যারা এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন, এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং তার সরকারের আমলের সফলতার চিত্র তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রত্যয়, আর পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিগণ হলেন: স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জ্বল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ এটিএম জাফর আলম (মরণোত্তর), এ কে এম মোজাম্মেল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. কাজী মিসবাহুন নাহার, আব্দুল খালেক (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মোহাম্মাদ খালেদ (মরণোত্তর), শওকত আলী খান (মরণোত্তর), চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম, সমাজ সেবায় ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ, সংস্কৃতিতে মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অধ্যাপক ড. হাসিনা খাঁন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচার (বিআইএনএ) পুরষ্কার প্রদান করা হবে।
Development by: visionbd24.com