রাজধানীর ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল লিমিটেডে এক মায়ের গর্ভে ৪ নবজাতকের জন্ম হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চার নবজাতকের জন্ম হয়। নবজাতক চারটির মধ্যে একটি ছেলে ও অপর তিনটি মেয়ে।
মায়ের সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. রত্মা পাল। বর্তমানে শিশুরা হাসপাতালটির নিউন্যাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিউটে (এনআইসিইউ) শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. রোজিনা আক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডা সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুব্রত মন্ডল হাসপাতালটির কস্টমার কেয়ারের বরাত দিয়ে জানান, বুধবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের ইমরান হোসেনের স্ত্রী রেখা হাসপাতালটির গাইনি বিভাগে ভর্তি হন। রাত ১২টার দিকে রেখার অস্ত্রপ্রচার করা হয়। ভূমিষ্ট হওয়া পুত্র সন্তানের ওজন এক হাজার ৫০০ গ্রাম, কন্যা নবজাতকদের ওজন যথাক্রমে এক হাজার ২০০ গ্রাম, এক হাজার ৫৪০ গ্রাম ও এক হাজার ১০০ গ্রাম।
এ চার নবজাতকের মধ্যে পুত্র নবজাতক এনআইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে, প্রথম কন্যা নবজাতক সিপ্যাপ বা মিনি লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। তবে তার পায়খানার সঙ্গে রক্ত ঝরছে। অপর দুই নবজাতককে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে।
চার নবজাতকের চিকিৎসায় নিয়োজিত ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সহাকারী অধ্যাপক ডা. রোজিনা আক্তার বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই ভূমিষ্ট হয়েছে চার নবজাতক। মিসেস রেখা ৩১ সপ্তাহ ৫ দিনে এই নবজাতকের জন্ম দেন। ফলে অপূর্ণাঙ্গ শারীরিক গঠন নিয়ে তাদের জন্ম হয়। ফলে তারা কেউ আশঙ্কামুক্ত নয়।
ডা. রোজিনা আক্তার আরও বলেন, এ পর্যন্ত তারা যেসব রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন তাতে দেখা যায়, এ চার নবজাতকের কারোর ফুসফুস পরিপূর্ণ হয়নি। তাই শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে। তবে নবজাতকদের বাঁচিয়ে রাখতে তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে অধ্যাপক ডা. রুমানা শেখের অধীনে সুইটি খাতুনের গর্ভে অপর তিন নবজাতক জন্মগ্রহণ করে। অপরদিকে চলতি বছরের ২১ ও ২২ মে এই হাসপাতালে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমার অধীনে সনিয়া আক্তারের গর্ভে চারটি এবং
একই হাসপাতালে গত জুলাই মাসে পুলিশ সদর দফতরের কল্যাণ ও ফোর্সের সদস্য গোলাম মোস্তফার স্ত্রী ছন্দার গর্ভে তিন নবাজতক (ট্রিপলেট) জন্ম নেয়। ট্রিপলেট বেবিরা হলো- তোহা, জোহা ও তাহি।
জন্মের পরপরই তাদের ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের এনআইসিইউতে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. রোজিনা আক্তারের অধীনে চিকিৎসা দেয়া হয়। এখন শিশু তিনটি সুস্থ আছে।
Development by: visionbd24.com