জাতির জনককে বঙ্গবন্ধু উপাধির পঞ্চাশ বছর পূর্তি হলো আজ-শনিবার— ১৯৬৯ এ দিনে তৎকালীন রোসকোর্স ময়দানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের গণসংবর্ধনায় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। দিনটি বাঙালির জাতির ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন।
বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা দেয়ার পর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা দেয় আইয়ুব খান। ফুঁসে ওঠে পুরো জাতি। গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। চলতে থাকে লাগাতার আন্দোলন। আসাদের মৃত্যু, মিছিলে গুলি করে কিশোরছাত্র মতিউরকে হত্যা, রাজবন্দী সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার পর এ আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার।
২৩ ফেব্রুয়ারি, আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, সেদিনের রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবকে গণসংবর্ধনা দেয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সে সভা থেকেই তাকে দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু উপাধি। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়েই চূড়ান্ত পরিণতি পায় মুক্তিযুদ্ধ— এ অভ্যুত্থানকে টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন তোফায়েল আহমেদ। সে দিনটির কথা ভেবে আজও আপ্লুত তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ। জাতির জনকের ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি পাওয়ার এ দিনটিকে আরো গুরুত্ব দিয়ে পালন করা উচিত বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধুর এ সহচর।
Development by: visionbd24.com