অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ প্রকল্প শুরু করেছে চীন। আর সেই প্রকল্পের আড়ালেই লুকিয়ে রয়েছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তৈরির পরিকল্পনা। ‘চাঞ্চল্যকর’ এই খবর ফাঁস করল মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস।
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর হল চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পের অংশ। আর এই প্রকল্পকে এতদিন পুরোপুরি বাণিজ্যিক বলে দাবি করে এসেছে বেইজিং। বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বোঝাপড়ার কথা বলেছে পাকিস্তানও।
এই রাস্তা ও রেলপথের একটি অংশ যাচ্ছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর দিয়ে। এই অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ বলে মেনে নেয় না ভারত। তাই এই প্রকল্পে আপত্তি জানিয়েছিলো দিল্লী। তবে ভারতের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ শুরু করে বেইজিং আর ইসলামাবাদ।
ইউরোপ, এশিয়া আর আফ্রিকা জুড়ে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ নামে রাস্তা ও রেলপথ বানানোর প্রকল্প শুরু করেছে চীন। পাকিস্তানের সাথে এই করিডরটি বানাতে পারলে নিশ্চিতভাবেই সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বেইজিং। এর ফলে পশ্চিম চীনের সঙ্গে আরব সাগর যুক্ত হয়ে যাবে। ফলে ভারত মহাসাগরের ওপর নির্ভরতা কমবে চীনের।
তবে বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, প্রকাশ্যে বাণিজ্যিক বোঝাপড়ার কথা বলা হলেও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের পিছনে লুকিয়ে আছে যুদ্ধবিমান বানানোর গোপন আঁতাত। যে কারণে এই প্রকল্পে বিপুল টাকা বিনিয়োগ করছে চীন, যার পরিমাণ এই মুহুর্তে প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। শুধু যুদ্ধবিমানই নয়, বানানো হবে আরও অনেক অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্র এবং যন্ত্রাংশ। এমনটাই দাবি করা হয়েছে মার্কিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টটিতে।
সামরিক যন্ত্রাংশ বানাতে এই বছরের শুরুতেই পাক বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন চীনা প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠকে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মধ্যেই একটি বিশেষ অর্থনেতিক অঞ্চল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলেই চীনের সহায়তায় বানানো হবে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, অত্যাধুনিক রাডার যোগাযোগ ব্যবস্থার বিভিন্ন স্টেশন এবং অন্যান্য সামরিক যুদ্ধাস্ত্র।
Development by: visionbd24.com