ঘোড়াশালে চুরিতে বাধা দেয়ায় নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা

সোমবার, ০১ এপ্রিল ২০১৯ | ১২:৩৭ অপরাহ্ণ | 265 বার

ঘোড়াশালে চুরিতে বাধা দেয়ায় নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা

নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাবল চুরিতে বাধা দেওয়ায় গোলাপ মিয়া (৫৫) নামে এক নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। রোববার (৩১ মার্চ) দিনগত রাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭ নম্বর ইউনিটের পাশে অবস্থিত ক্যাবল স্টোরে এ ঘটনা ঘটে।

গোলাপ মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ার চরটেকি গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক মিয়ার ছেলে। তিনি ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আহতরা হলেন-বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ, নিরাপত্তাকর্মী সাজ্জাত রহমান, আনসার সদস্য আশাদউল্লাহ ও উজ্জল মিয়া।

পুলিশ ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৭ নম্বর ইউনিটের পাশে অবস্থিত ক্যাবল স্টোরে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন গোলাপ মিয়া ও সাজ্জাত রহমান। তাদের পাশের স্টোরের নিরাপত্তায় ছিলেন আশাদউল্লাহ ও উজ্জল। রাত আনুমানিক ২টার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের তদারকি করতে ঘটনাস্থলে যায় সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ।

এসময় স্টোর থেকে ৪/৫ জন দুর্বৃত্তের একটি দলকে তামার ক্যাবল নিতে দেখে নিরাপত্তাকর্মীদের ডেকে নিয়ে যায় তিনি। সেখানে বাধা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের সঙ্গে থাকা আরো ১৫ থেকে ২০ জন লোক নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই গোলাপ মিয়ার মৃত্যু হয়। পরে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসিক হাসপাতালে ভর্তি করে।

আহত নিরাপত্তাকর্মী সাজ্জাত রহমান জানান, প্রথমে ৪/৫ জন লোক ক্যাবল টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে আমারা তাদের বাধা দেই। এরপর নির্জন একটি ঝোপ থেকে আরও ১৫/২০ জন রামদা ও লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় আনসার সদস্যদের সঙ্গে দু’টি শর্টগান ছিলো। সুপাভাইজার তাদের ফাঁকা গুলি ছোড়ার নির্দেশ দিলেও তারা কেউ গুলি ছোড়েনি। পরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান ফটকে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের জানালে তারা আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের খবর দেন।

সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ জানান, হামলার শুরুতেই আমাদের জীবন রক্ষার্থে দুই আনসার সদস্যকে ফাঁকা গুলি ছোড়তে বলেছিলাম। কিন্তু তারা বন্দুক কাঁধে রেখেই মার খেতে থাকলো।

ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে দায়িত্বরত আনসার কমান্ডার আক্তার হোসেন জানান, নিরাপত্তায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে দু’টি শর্টগান ও ৫ রাউন্ড করে ১০ রাউন্ড গুলি ছিল।কিন্তু নির্দেশ দেওয়ার পরও তারা কেন গুলি ছোড়েনি, তা খতিয়ে দেখা হবে।

এবিষয়ে জানতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) মো. কামাল মজুমদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Development by: visionbd24.com