জাহালমের দায় দুদককে নিতে হবে : হাইকোর্ট

বৃহস্পতিবার, ০৭ মার্চ ২০১৯ | ১২:৫৪ অপরাহ্ণ | 385 বার

জাহালমের দায় দুদককে নিতে হবে : হাইকোর্ট

দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক যখন জানতে পারে জাহালম নির্দোষ তখন তার জামিন করানো উচিত ছিল ব্যবস্থা না নয়ো এর দায় দুদককে নিতেই হবে। বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদকের মামলায় নিরীহ জাহালমের কারাভোগসংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেয়।

হাইকোর্ট সূত্রে জানা গেছে , ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় কতজন ব্যাংক অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি সংক্রান্ত ৩৩টি মামলার সব কাগজপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ১০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছে আদালত।

এ মামলায় দুদকের পক্ষে হলফনামা জমা দেন আইনজীবী খুরশীদ আলম। তিনি শুনানিতে সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মামলায় জাহালমকে কীভাবে ২৬ মামলার আসামি করা হয়, এবং দুদকের অধিকতর তদন্তে জাহালম কীভাবে নির্দোষ প্রমাণিত হন হলফনামা থেকে আদালতকে পড়ে শোনান।

দুদকের এই আইনজীবী আদালতকে জানায়, সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতিসংক্রান্ত মামলাগুলোর অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন বিচারিক আদালতে জমা দেয়া হয়। একই সঙ্গে জাহালমের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ প্রত্যাহার চেয়েও বিচারিক আদালতে আবেদন করা হয়। খুরশীদ আলম হলফনামা থেকে তথ্য তুলে ধরে আদালতকে জানায়, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সাক্ষীরা জাহালমকে সালেক বলে শনাক্ত করেন। তবে অধিকতর তদন্তে জানা যায়, প্রকৃত আসামি সালেকের বাড়ি ঠাকুরগাঁও।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি প্রথম আলোয় ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সেদিন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত। শুনানি নিয়ে আদালত জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন। একই সঙ্গে নিরীহ জাহালমের গ্রেপ্তারের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতিনিধি ও আইনসচিবের প্রতিনিধিকে ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় সশরীরে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় সেদিন দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি হিসেবে দুদকের মহাপরিচালক (তদন্ত), মামলার বাদী আব্দুল্লাহ আল জাহিদ, স্বরাষ্ট্রসচিবের (সুরক্ষা) প্রতিনিধি যুগ্ম সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন এবং আইন সচিবের প্রতিনিধি সৈয়দ মুশফিকুল ইসলাম আদালতে হাজির হন। আর সেদিন শুনানি নিয়ে জাহালমকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।

Development by: visionbd24.com