‘ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা’

রবিবার, ২৮ মে ২০২৩ | ৩:১৮ অপরাহ্ণ | 14 বার

‘ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা’

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাগুলোতে ডেঙ্গু সংক্রমণের পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু সংক্রমনের পরীক্ষার ফি একশত টাকা আর বেসরকারি হাসপাতালে সর্বোচ্চ পাঁচশত টাকা করা হয়েছে।

রবিবার (২৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু পরীক্ষাসহ ডেঙ্গু চিকিৎসায় আমরা সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করে দিয়েছি। এই গাইডলাইন অনুযায়ীই সবাইকে চিকিৎসা দিতে হবে। প্লাটিলেট ব্যবহার নিয়েও গাইডলাইনে নির্দেশনা রয়েছে। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরীর পরেই দেশে সবচেয়ে বেশি রোগী চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারে। এ জেলার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।’

এবছরও ১ হাজার ৬৬ রোহিঙ্গা ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে। তবে সেখানে ভাইরাসটি প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনা কঠিন। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাদের কালচার আলাদা হওয়ায় এ ব্যাপারে কাজও সেভাবে করা যায় না।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকায় ওয়াসার পানি সঠিক ব্যবস্থাপনায় ধরে রাখা গেলেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পানি সরবরাহের ব্যবস্থা খুব কম। ফলে তারা বিভিন্ন গর্ত থেকে পানি সংগ্রহ এবং অনেক সময় পানি খোলা পাত্রে রেখে দেয়। এছাড়া তাদের সচেতনতার বিষয়টি আরও কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় জনগোষ্ঠী বেশি হলেও সেখানে জায়গা রয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জায়গা কম মানুষ বেশি। ফলে সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি।’

অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় যেখানে ঘনবসতি বেশি সেখানে মশার উপদ্রব বেশি। তবে নির্দিষ্ট করে কোনো এলাকায় সবচেয়ে বেশি সেটি বলা এই মুহূর্তে কঠিন। রোগীদের তথ্য যাচাই করে তারপর বিস্তারিত বলা যাবে। আমরা পুরো ঢাকা শহরকেই বিবেচনায় নিচ্ছি। আমাদের কাজ রোগী ব্যবস্থাপনা। ডেঙ্গু কোথায় বেশি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের।’

রোগী জটিলতার বিষয়ে অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, ‘ঠিক ব্রাজিলের মতোই ঢাকায় অপরিকল্পিত নগরী গড়ে উঠছে। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেই আমরা প্লাটিলেটকে সামনে আনি। অথচ এটি সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়।আমাদের উচিত জনসচেতনতায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।’

Development by: visionbd24.com