তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে জেঁকে বসেছে শীত। ঠান্ডাজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ এবং শিশুরা। রোববার (৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮) সকাল ৯টায় রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা বাড়লেও শেষের দিকে তাপমাত্রা আরও কমে উত্তরাঞ্চলের হিমবাহ পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মধ্য জানুয়ারিতে তাপমাত্রা আরও কমবে। এই তাপমাত্রা বজায় থাকবে মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। হিমেল হাওয়ায় উত্তরের জেলা সিরাজগঞ্জে জেঁকে বসেছে শীত। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পড়েছে জেলার রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কমতে থাকে।
এদিকে শীতের প্রকোপে গত এক সপ্তাহে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন জানান, শীতের দাপটে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর চিকিৎসা নিয়েও তেমন ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। ঝিনাইদহেও শীতের দাপটে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষকে। রাস্তার পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন হতদরিদ্ররা। এছাড়া সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতের দাপটে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
Development by: visionbd24.com