বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরাতো দুবার প্রতারণার শিকার হয়েছি। থার্ড টাইম এ দেশের মানুষ আর প্রতারণার শিকার হবে না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, তোমাদের এই সকল কথায় কেউ ভুলবে না। কারণ কখনই তোমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করোনি।’
শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হিন্দু–বৌদ্ধ–খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আইনমন্ত্রী পার্লামেন্টে কালকে বলেছেন, যখন নির্বাচন চলবে, নির্বাচন কমিশনের সেই ক্ষমতা থাকবে যে, তখন আর কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বা কাউকে আটক করা যাবে না। এই কথা কে বিশ্বাস করবে? সেই রাখাল বালকের গল্পের মতো। আপনারা (সরকার) সেই রাখাল বালক। গ্রামবাসীকে বোকা বানানোর জন্য যখন প্রায় চিৎকার করত যে, বাঘ আসছে বাঘ আসছে বলে গ্রামবাসী তখন লাঠিসোঁটা নিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসত। এসে দেখে যে, কিছু নেই সেই রাখাল বালক দূরে দাঁড়িয়ে হাসছে। থার্ড টাইম যখন সত্যি সত্যি বাঘ এসেছে, চিৎকার শুরু করেছে তখন দেখে গ্রামবাসী কেউ আসেনি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডেড নয়, এখন লাইফ ইস্যু। কারণ আমরা মনে করি যে, এই সরকারের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। এত চুরি করেছে, এত দুর্নীতি করেছে এবং একটা সমস্যারও সমাধান করতে পারেনি, সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কারণ নেই। সেই কারণে আমরা বলেছি যে, একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা একটা নিরপেক্ষ সরকার এবং নির্দলীয় সরকারকে দায়িত্ব দিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন হয়, তাহলে কোনো দিনই তাঁরা (সরকার) ক্ষমতায় ফিরে আসা দূরে থাকুক, পার্লামেন্টে ১০ ভাগের বেশি ভোট পাবে না। সেই সরকার আজকে ক্ষমতায় বসে আছে। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, বাংলাদেশের মানুষ দুইটা ইলেকশন দেখেছে ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে। আবার ওই জায়গায় ফেরত যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।’
ফখরুল সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা কোনো কথা শুনতে চাই না। আগে পদত্যাগ করুন, তারপরে সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচনকালীন একটা নির্দলীয় সরকার গঠন করবার জন্য সেই ব্যবস্থা নিন।’
Development by: visionbd24.com