গাজীপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের রওশন আলমের কন্যা ঝর্ণা আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধুর সন্ধান চেয়ে আজ রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন করেছে তার আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী। তারা মানববন্ধনে অভিযোগ করেন, ঘটনার পর গত দেড় বছরেও মূল রহস্য উদঘাটন হয়নি, যদিও সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মানববন্ধনে এক লিখিত বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘২০১৭ সালের ১৩ মার্চ ঢাকার ধামরাই উপজেলার কাজিয়ারকুন্ড বড় কুশিয়ারার আঃ সাত্তারের ছেলে শাহাদাত হোসেন (২২) এর সাথে শরীয়ামতে গাজীপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের রওশন আলমের কন্যা ঝর্ণা আক্তার বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে শাহাদাত তার মা ভাই বোনদের কু-পরামর্শে যৌতুকের জন্য ঝর্ণার উপর একর পর এক শাররিক নির্যাতন করে। বিষয়টি একাধিকবার স্থাণীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিচার শালিস মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু কিছুতেই আসামী শাহাদাতের মন ভরে না। যৌতুকের দাবি করে ঐ বছরের ২৭ সেপ্টেবর তারিখে রাত ৯ টার দিকে শাহাদাত ও তার মা-বোন মিলে ঝর্নাকে মারধর করে। এ সময় প্রতিবেশী আবুল কাশেম উপস্থিত হয়ে বিষয়টি শান্ত করেন। এরপর আবারো তাকে মারধরের খবর জানালে ঝর্ণার বাবা ২৮ তারিখ ভোর বেলা ঝর্ণাকে দেখার জন্য শাহাদাতের বাড়ীতে আসে। কিন্তু ঝর্ণার বাবা শাহাদাতের বাড়ীতে এসে কোন লোকজন দেখতে পায় না এবং ঘর দরজা তালাবদ্ধ দেখতে পান, প্রতিবেশীদের জিজ্ঞেস করলে কেউ কিছুই বলতে পারে না। অনেক খোজাখুজি করে কাউকে না পেয়ে রওশন আলম ৩০ তারিখে ধামরাই থানায় একটি সাধাধরন ডায়েরী করেন। ডায়েরী নং-১১১৮/১৭। কিন্তু ঝর্ণার বাবা জিডি করার পর সংশ্লিষ্ট থানা ভিকটিম ঝর্ণা আক্তারকে উদ্ধারের কোন চেষ্টাই করে না। ঝর্ণার বাবা রওশন আলম থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলাও নেয় না। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলে ঐ বছরের ১০ অক্টেবর ৪ জনকে আসামী করে ধামরাই থানা পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধন-০৩) এর ৭/১১(গ)/৩০ ধারায় একটি মামলা গ্রহন করে। মামলা নং ১০/১৭।’ এই মামলার প্রধান আসামি করা হয় নিখোঁজ ঝর্ণা আক্তারের স্বামী সাহাদাত হোসেনকে, বাকি তিনজন মূল আসামির মা-বাবা ও বোন। প্রধান আসামি বর্তমানে কারাগারে থাকলেও তার মা-বাবা ও বোন হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। এরপর দীর্ঘ দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এ মামলার কোনো কূলকিনারা হয়নি। এব্যপারে নিখোঁজ ঝর্ণা আক্তারের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Development by: visionbd24.com