নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিনেও সহায়তা পাননি জেলেরা

শনিবার, ০২ মার্চ ২০১৯ | ৫:০৭ অপরাহ্ণ | 366 বার

নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিনেও সহায়তা পাননি জেলেরা

সব ধরনের মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিনে পটুয়াখালীতে কোস্টগার্ডের অভিযানে একশ’ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়েছে। তবে, যারা আইন মেনে মাছ ধরতে নামেননি, তারা সরকারের দেয়া সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেন। এদিকে, ইলিশ রক্ষায় জেলেদের সচেতন করার পাশাপাশি নদীতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তারা। রিপোর্টার ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।

দেশের অভয়াশ্রমগুলোতে সব ধরনের মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও পটুয়াখালীর তেঁতুলিয়া নদীতে রাতের আঁধারে জেলেরা জাটকা ধরছে। শনিবার (২ মার্চ) সকালে অভয়াশ্রমের ২০ কিলোমিটার জুড়ে অভিযান চালিয়ে একশ’ কেজি জাটকা জব্দ করে কোস্টগার্ড। এ সময় পালিয়ে যায় জেলেরা। সকালে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় অভিযান চালায় জেলা টাস্কফোর্স। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের নেতৃত্বে নদীর বিভিন্ন এলাকায় টহল দেন কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ সদস্যরা। এ সময় অনেকে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিলেও আটক হবার ভয়ে পালিয়ে যায় তারা।

নিষেধাজ্ঞার শুরুতে ভোলার মেঘনায় অনেক নৌকা দেখা দিলেও দ্বিতীয় দিনে সে চিত্র পাল্টেছে। ইলিশা, রাজাপুর ও কচিয়াসহ নদীর বিভিন্ন এলাকায় এখন নিরবতা। সাময়িক বেকার হয়ে নদীর পাড়ে বসে অলস সময় পার করছেন কেউ কেউ। আবার কেউবা ব্যস্ত জাল বোনায়। প্রকৃত অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারি সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেন।

নিষেধাজ্ঞা মেনে শরীয়তপুরের পদ্মায় মাছ ধরা বন্ধ রেখেছেন জেলেরা। মাছ শিকার বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটের কথা জানিয়ে, সরকারি বরাদ্ধ পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ তাদের। ভিজিএফ কার্ডের বাইরে রয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার জেলে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের সরকারি বরাদ্দের চাল জেলেদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে বলে জানান নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা।

বরিশালে কীর্তনখোলার হবিনগর পয়েন্ট থেকে মেঘনার চরমেঘা পর্যন্ত ৮২ কিলোটার এলাকায়, নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে নামেননি জেলেরা। মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনাসহ ৫ টি অভয়াশ্রমে পহেলা মার্চ থেকে শুরু হওয়া, সব ধরনের মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

Development by: visionbd24.com