‘পাঠান’ সিনেমার আদ্যোপান্ত

সোমবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ | ৭:৩১ অপরাহ্ণ | 14 বার

‘পাঠান’ সিনেমার আদ্যোপান্ত

‘‘পাঠান’- দীর্ঘদিন পর কিং খানের সগৌরবে ফিরে আসার ধামাকা স্টার্টিং। তাইতো প্রথম দিনেই সপরিবারে ঢুকে গেলাম মুভি থিয়েটারে। আড়ম্বরপূর্ণ, চটকদার এবং অ্যাকশন-প্যাকড ফিল্ম। প্রথম সপ্তাহেই ‘ব্লকবাস্টার’। ফিল্মটিতে অ্যাকশন, থ্রিল, বিট অফ সাসপেন্স এবং গ্রিপিং স্টোরিলাইন রয়েছে। “SRK” একটি ধাক্কা দিয়ে ফিরে এসেছেন। যা আমার মত শাহরুখ ভক্তদের আনন্দিত করেছে। লম্বা বিরতির পর শাহরুখের দুর্দান্ত যোগ্যতা প্রমাণিত হয়েছে৷ জন আব্রাহাম তার নেতিবাচক ভূমিকায় ইস্পাতের মত দৃঢ় ছিলেন। জন আব্রাহামের ধ্বংসাত্মক হওয়ার পেছনের গল্পটা করুণ। তারই চোখের সামনে তার প্রেগন্যান্ট স্ত্রীকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয়া হয়। দীপিকা পাডুকোনকে দেখে সৌন্দর্য পিপাসুদের ভ্রু কুঞ্চিত হয়েছে। দীপিকার গ্ল্যামার প্রেজেন্টেশন দেখে বিখ্যাত অভিনেত্রী সোফিয়া লোরেন ও ব্রিজিত বার্দোতের কথা মনে পড়ে গিয়েছে।’

‘তিনি তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির সাথে ফিল্মে কিছু অ্যাকশনও করেছেন। সমস্ত ফাইট সিকোয়েন্স এবং চেজ সত্যিই অসাধারণভাবে চিত্রিত করা হয়েছে এবং সেগুলি খুব চিত্তাকর্ষক। সেই সাথে ভিএফএক্স এবং সিজিআই-তে পূর্ণ মার্কস।  এটি পুরোদমে স্পাই থ্রিলার মুভি। অ্যাকশনগুলি পরবর্তী স্তরের এবং অবশ্যই হলিউডের মান পূরণ করে৷ ছবিতে ডিম্পল কাপাডিয়া এবং আশুতোষ রানাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন। এটি একটি পারিবারিক চলচ্চিত্র এবং এতে বিতর্কিত কিছু নেই। বরং এই ছবি দর্শকদের হৃদয়ে দেশপ্রেমের শিখা জ্বালিয়ে দেবে।’

‘গল্পটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এবং উত্তেজনাপূর্ণ যেখানে জিম (জন আব্রাহাম) আউটফিট এক্স-এর নেতৃত্ব দেয়। একটি ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা দুবাইতে একটি বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করে। পাঠান (শাহরুখ) একজন সাহসী RAW এজেন্ট। জিমের পরিকল্পনা বন্ধ করার চেষ্টা করে এবং তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। এখান থেকে বিড়াল এবং ইঁদুরের তাড়া শুরু হয়। তারা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অব্যাহত থাকে। বাইক, ট্রেন, প্লেন, হেলিকপ্টার, আইস স্কেটিং, ট্রাক, কার এর চেজ সিকোয়েন্স উপভোগ্য হয়েছে! তারকাদের অভিনয়  আকর্ষণীয় এবং চিত্তাকর্ষক ছিল। শাহরুখের অ্যাকশন, দেশপ্রেম ও তারকা শক্তির সাথে সালমান খানের অসাধারণ ক্যামিও প্রশংসনীয়।সিদ্ধার্থ আনন্দের ছিমছাম কিন্তু শক্তিশালী গল্পের সাথে তার পরিচালনাও সুন্দর এন্টারটেইনিং। চরিত্রগুলো সুন্দরভাবে উপযুক্ত সংলাপ দিয়ে লেখা হয়েছে। ছবিতে মাত্র ২টি গান এবং ২টি গানই রকস। বেশ লক্ষনীয় ছিল দ্রুত চলমান চিত্রনাট্য, যা কিছুক্ষণের জন্যও দর্শককে নিস্তেজ করবেনা। একের পর এক অ্যাকশন-প্যাকড সিকোয়েন্সের সাথে ছিল হেলথি প্রেজেন্টেশন। দেশপ্রেমের ইমোশনাল সিকোয়েন্স অনেকদিন মনে থাকবে। বিশেষ করে ল্যাবে ভাইরাস ইনফেক্টেড ডিম্পল কাপাডিয়ার হাসিমুখে মৃত্যুবরণ ভীষণ টাচি ছিল। ডিম্পল যখন নিজেকে গুলি করে প্রাণত্যাগ করছিলেন সে সময় গুলির শব্দে হাঁটতে থাকা শাহরুখের কষ্টমাখা অভিব্যক্তি হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আমার মনে হচ্ছে কিং খানের ‘’পাঠান’’ বলিউডকে নতুন করে উজ্জীবিত করেছে! আমি বলবো “পাঠান” মাস্ট ওয়াচ ক্যাটাগরির ফিল্ম।’’

মিলি সুলতানার ফেসবুক পোস্ট থেকে সংগৃহীত…

Development by: visionbd24.com