বিমান মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিজ্ঞপ্তির জবাব

ফুটেজ দেখলে সত্য-মিথ্যা প্রমাণ হবে : ইলিয়াস কাঞ্চন

বৃহস্পতিবার, ০৭ মার্চ ২০১৯ | ৯:১১ অপরাহ্ণ | 744 বার

ফুটেজ দেখলে সত্য-মিথ্যা প্রমাণ হবে : ইলিয়াস কাঞ্চন

ভিডিও ফুটেজ দেখলে সত্য-মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে বিমান মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিজ্ঞপ্তির জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের উদ্যোক্তা ইলিয়াস কাঞ্চনের লাইসেন্সকরা পিস্তল ও গুলি বহনের ঘটনা এখন সারাদেশেই আলোচিত। বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির জন্য দোষারোপ করছেন বরেণ্য এই চিত্রনায়ককে। ইলিয়াস কাঞ্চনের দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই ঘটনা প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন অসত্য কথা বলছেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য সকালে বিমানবন্দরে গেলাম। সেদিনই ফিরব বলে, শুধু ল্যাপটপের ব্যাগটাই সঙ্গে নিয়েছি, অন্য কোনো লাগেজও নেইনি। বিমানবন্দরে ঢুকেই যথারীতি ল্যাপটপের ব্যাগ আমি স্ক্যানিংয়ে দেই। স্ক্যানিং থেকে ব্যাগটা চলে এলো। এদিকে, আমারও দেহ তল্লাশি শেষ। আমি ল্যাপটপের ব্যাগটা নিয়ে ভেতরে যাচ্ছিলাম। বোডিংও শেষ করলাম।

ইমিগ্রেশনের জন্য ভেতরে যখন যাব। ল্যাপটপের ব্যাগটা রাখলাম। কোট, বেল্ট খুলছিলাম। তখন হঠাৎ করে মনে হলো, আরে আমার ল্যাপটপের ব্যাগের ভেতর তো পিস্তলটা রয়ে গেছে! কী ব্যাপার, পিস্তল আছে, কিন্তু ধরা পড়ল না কেন! ব্যাগটা ওদের কাছে চাইলাম, আমাকে কিন্তু এতক্ষণ কেউ কিছু বলে নাই। ব্যাগ হাতে নিয়ে বললাম, আমার ব্যাগে পিস্তল আছে। আমি জমা দিব। যেখানে বোডিং করলাম, ব্যাগটা নিয়ে সেখানে গেলাম। একজন নিরাপত্তারক্ষী এলো। জানতে চাইল, আমার বোডিং পাস কই। আমার সঙ্গে যে ছিল, তার কাছেই বোডিং পাস ছিল। তার কাছে গেলাম। বোডিং পাস নিয়ে এসে নিরাপত্তকর্মীর হাতে দিলাম। ফর্মে লিখলাম পিস্তলের লাইন্সেস নাম্বারসহ বিস্তারিত সবকিছু।

আমি পিস্তল জমা দিয়ে বললাম, এই যে আমি স্ক্যানিংয়ে দিলাম, পিস্তল ধরা পড়ল না কেন! ভালো লাগল না বিষয়টা। আমি ইলিয়াস কাঞ্চন, আমি না হয় দায়িত্বের সঙ্গে এটা জমা দিলাম। অন্য কেউ তো উদ্দশ্যেপ্রণোদিতভাবে অন্য কিছুও করতে পারত। তাহলে এটা কী দাঁড়াল! এটা আপনারা দেইখেন। বলেই, আমি ভেতরে গিয়ে বসলাম। বিমান আমার আধাঘন্টা দেরি। তিনজন সিকিউরিটি এলেন। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কি হয়েছে। আমার ল্যাপটপ ব্যাগের ছবি তুলে নিল। যাওয়ার আগে বলল, দেখব আমরা। এই তো।’

Development by: visionbd24.com