মুসলিম উম্মাহ’র কল্যাণ, শান্তি এবং মানবতার মুক্তি আর পরকালের জন্য ক্ষমা চাওয়ার মধ্য দিয়ে সাদপন্থীদের আখেরী মোনাজাত শেষ হয়েছে। সেইসঙ্গে ৫৪ তম বিশ্ব ইজতেমাও শেষ হলো। এতে অংশ নিয়েছেন দেশ বিদেশের লাখো মুসল্লি। মোনাজাত পরিচালনা করেন দিল্লীর মাওলানা শামীম আহমদ। দিকনির্দেশনামূলক বয়ানের পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর তুরাগ তীরের জনসমুদ্রে নেমে আসে নীরবতা। যে যেখানে ছিলেন সেখানেই দাঁড়িয়ে যান। হাত তোলেন আল্লাহ’র দরবারে।
১৭ মিনিটব্যাপী মোনাজাতে ভারতের মাওলানা শামীম আহম্মেদ দেশ, জাতি এবং মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি কামনা করেন। যারা ময়দানের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি তারাও নিজ নিজ অবস্থানে থেকেই মোনাজাতে অংশ নেন। বিমানবন্দর এলাকা ও উত্তরা থেকেও মুসল্লিরা মোনাজাতে অংশ নেন। আর ময়দানের বাইরে অবস্থানকারি মুসুল্লি ও পথচারীদের মোনাজাতে শরীক করতে ময়দানের বাইরে আশপাশের এলাকায় শতাধিক মাইকের সংযোগ দেয়া হয়।
আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে ফজরের নামাজের আগে থেকেই মুসল্লিরা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দিকে যেতে শুরু করেন। ভোর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া এলাকা এবং আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। যান চলাচল বন্ধ থাকলেও সবাই পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থলে যান। ফযরের নামাযের পর ভারতের হাফেজ ইকবাল হাসিব নায়ের উর্দুতে দিক নির্দেশনামূলক হেতায়েতী বয়ান করেন। আর তার বাংলা তরজমা করেন ওসামা বিন ওয়াসিব।
সোমবার আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সাদপন্থীদের আবেদনে একদিন সময় বাড়িয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় আখেরি মোনাজাতের দিন নির্ধারণ করে প্রশাসন। এবার ৬৪ জেলার মুসল্লিদের অংশগ্রহণে ইজতেমায় দুইবার হয় আখেরী মোনাজাত। জোবায়ের পন্থী ওলামা মাশায়েখ গ্রুপের ইজতেমা শুক্রবার শুরু হয়ে শনিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সাদপন্থী ওয়াসেকুল ইসলামের সমর্থকদের ইজতেমা শুরু হয় রোববার সকাল থেকে।
Development by: visionbd24.com