শিক্ষার্থীদের বয়সের তুলনায় পাঠ্য বইয়ে জটিল বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ করেছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এতে শিক্ষার্থীদের বেশ মানসিক চাপে থাকতে হয় বলে জানিয়েছেন তাদের মা-বাবারা। শিক্ষকরা বলছেন, এ বছরও বেশ কয়েকটি অনুচ্ছেদে অসঙ্গতি ও ভুল রয়ে গেছে। এ অবস্থায় পাঠ্য বই সহজ করার তাগিদ শিক্ষাবিদদের। ৬ষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বইয়ের দ্বাদশ অধ্যায়ে রয়েছে ‘বস্ত্র ও পরিচ্ছেদের প্রাথমিক ধারণা’ নামে একটি অনুচ্ছেদ। যেখানে রয়েছে পোশাক নিয়ে নানা ধরনের ব্যাখ্যা। পরিচ্ছেদ শেষে স্থান ও সময় বুঝে পোশাক পরিধান করার কথা বলা হয়।
এছাড়া ৫ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের শিখতে হবে ‘অধিক জনসংখ্যার প্রভাবসহ জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করা’ যা তাদের বয়সের তুলনায়ও বেশি কঠিন। আর ৪র্থ শ্রেণির বাংলা বইয়ে, যুক্তবর্ণের ব্যবহার শেখালেও সেখানে নেই হসন্ত চিহ্নের ব্যবহারের উদাহরণ। এমনি নানা অসঙ্গতি নিয়ে এ বছরও বইয়ের সার্বিক এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষকরা। আর বইয়ে অর্ন্তভুক্ত অনুচ্ছেদের জটিলতায় শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপে থাকতে হয় বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, পাঠ্যবই জটিল না করে শিক্ষার্থীর বয়স, মনস্তত্ত্ব, ও সামাজিক- সংস্কৃতি প্রেক্ষাপটে পাঠ্য বই তৈরি করা উচিৎ। কিশোর শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে বইয়ের প্রচ্ছদ ও ভেতরে যথেষ্ঠ আকর্ষণীয় করা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা। আর পাঠ্য বইয়ের ভুল খতিয়ে দেখে তা সংশোধন করার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মাধ্যমক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
গত বছরে বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে বেশ কিছু বিষয় পরিমার্জিত করা হয় যা পুনরায় পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান শিক্ষাবিদরা। তবে এ বছরও সেটি করা হয়নি। বই শিক্ষার্থীর মেধা ও মানসিক বিকাশের মাধ্যম। কিন্তু সে বইয়ে যদি থাকে ভুল ও অযাচিত অথবা দুর্ভোধ্য প্রশ্ন তবে তা শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশের অন্তরায় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Development by: visionbd24.com