শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস

শনিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ | ২:০১ অপরাহ্ণ | 949 বার

শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস

শুরু হলো মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের মাস- ডিসেম্বর। বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাসও এটি। ১৯৭১ সালে এ দিনে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালির প্রতিরোধ যুদ্ধ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সূচিত হয় বিজয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও তাদের শৌর্যবীর্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ ডিসেম্বরকে পালন করা হয় ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে।

ডিসেম্বর মাসব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা উদযান করবে বাংলাদেশ। বিজয়ের মাসের প্রথম দিন পালনে বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিজয়ের মাসকে স্বাগত জানিয়ে সমাবেশ, মানববন্ধন, বিজয় র‌্যালি, মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে এদিনের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ ও সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক রাজনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসে। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চুড়ান্ত বিজয় এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খন্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।

শুধু বিজয় নয়, বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই অর্জনের বেদনাবিঁধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর। এ মাসেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর আল শামসদের সহযোগিতায় দেশের মেধা, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেয়ার এধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোন নজীর বিশ্বে নেই।

দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয় র‌্যালি বের করবে। সকাল ১০টা ৪৫মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারী অপারেজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত হবেন। সেখান থেকে বেলা ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিজয়র‌্যালি বের হবে। এটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।

এনপিবি/এস

Development by: visionbd24.com