চট্টগ্রামে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের সঙ্গে সংসার করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর। স্বামীর প্রচণ্ড ভালোবাসা, পরিবারের চাপে অনেকটা করুণা করে স্বামীকে ডিভোর্স দেননি মিতু। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এসব তথ্য জানান মিতু। এদিকে ডা. আকাশও অনেকটা ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলেন। মিতুর শারীরিক সৌন্দর্য এবং তাঁর প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা থাকায় আকাশ সবকিছু জেনেও বারবার মেনে নিয়েছেন মিতুর বহুগামিতা।
এছাড়া তাদের বিয়েতে দেনমোহর ছিল ৩৫ লাখ টাকা।স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলে আকাশকে দিতে হতো এতগুলো টাকা। এসব ভাবনা সারাক্ষণ ঘুরপাক খাচ্ছিল তরুণ এই চিকিৎসকের মনে।তাই তো সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে বারবার ভাবতে হয়েছে তাকে।একাধিক পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়া মেনে নিতে হয়েছে মুখ বুঝে। এদিকে আকাশের আত্মহত্যার পর গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান মিতু। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
শুক্রবার বিকালে মিতুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেছেন আত্মহত্যাকারী চিকিৎসকের মা জমিরা খানম। মামলায় মিতু, তার বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, মা এবং আমেরিকা প্রবাসী এক বোন ও মিতুর দুই বয়ফ্রেন্ডকে আসামি করা হয়েছে। ৭ বছরের প্রেমের সূত্র ধরে ৩ বছর আগে ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে মিতুর সঙ্গে আকাশের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিতু বেশি সময় কাটিয়েছেন মা-বাবার সঙ্গে আমেরিকায়। মাঝে-মধ্যে মিতু স্বামীর কাছে আসতেন। দেশে আসার পরও মিতু স্বামীর বাসায় নয়, বেশিরভাগ সময় থাকতেন তার বাবার চান্দগাঁও এলাকার বাসায়। মিতুও পেশায় একজন ডাক্তার। ২০১৪ সালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।
Development by: visionbd24.com