সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এমনই দাবি করেছেন। তবে তা আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে কিনা তা খোলসা করেননি তিনি।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এখনও শীতল সম্পর্ক অব্যাহত- সেই সম্পর্ক নতুন করে শান্তির পথে গড়ে তুলতে ইমরান খান জানান, তার আমলেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সব থেকে বড় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, ‘ব্যাপারটাকে কোনোভাবেই আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব না। দেশের মাটিতে কোনোভাবেই এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে কাজ করতে দেওয়া হবে না।
পুলওয়ামার মতো হামলা হবে, আর সব দায় আমাদের নিতে হবে, এটা আর চলতে পারে না। ’
ইমরানের এই মন্তব্য নিয়ে ফের জলঘোলা শুরু হয়েছে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের মধ্যে। কারণ এখানে কৌশলে পুলওয়ামা ঘটনার দায় নিজেদের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন তিনি।
তার নতুন পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের কোনও জায়গা নেই বলে সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন ইমরান। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেটা আগে কখনও নেওয়া হয়নি। আমরা ওদের ধরপাকড় শুরু করেছি। ওদের পুরো ব্যবস্থাগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে এরকম ব্যবস্থা পাকিস্তানে আগে কখনও নেওয়া হয়নি। আমার এখনও আশঙ্কা পুরোপুরি যাচ্ছে না। আমার মনে হচ্ছে নির্বাচনের আগে ফের একবার যুদ্ধ জিগির তোলা হতে পারে। ’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য দুটি বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছে। এক- পুলওয়ামা হামলায় তারা সরাসরি জড়িত নন। দুই- ভারত আবার হামলা চালাতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পুলওয়ামার ঘটনায় তারা জড়িত না থাকলে এত তৎপরতা দেখালেন কেন? পাল্টা আঘাত হানতে চাইলেন কেন? ভারত আবার হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কাই বা করছেন কেন?
যদিও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আরও একবার তোপ দেগে ইমরান বলেন, ‘ভারতের মানুষের বোঝা উচিত শুধুমাত্র নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে যুদ্ধ জিগির তোলা হচ্ছে।
Development by: visionbd24.com