সবকিছু প্রস্তুত থাকার পরও আদালতের নির্দেশনার কারণে সহসাই প্রকাশ করা হচ্ছে না মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তি-সংশোধন-বাতিল ও উপজেলা-জেলা-মহানগর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বসে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকার ৬১তম সভা।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সভা শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, কাউন্সিলের আইন লঙ্ঘন করে ২০০৩ থেকে ১৪ পর্যন্ত যে সব মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন তাদের আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন করে আবেদন করতে হবে। মন্ত্রী জানান, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৬০ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যেসব উপজেলায় এখনো যাচাই বাছাই হয়নি সেখানে সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হলে তাকে, আর না হলে যুদ্ধাকালীন একজন কমান্ডারকে সভাপতি করে নতুন কমিটি হবে। পাশাপাশি যেসব উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবেদনকারীর সংখ্যা ১০ শতাংশের বেশি সেখানে পুনঃতদন্ত করা হবে। সভাশেষে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা। তিনি জানান, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৬০ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হবে।
যেসব মুক্তিযোদ্ধা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ এর পর বিভিন্ন বাহিনীতে যোগ দিয়ে সেই বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম তুলেছেন, তাদের নাম বাহিনী থেকে বাদ যাবে। যাচাই বাছাই সাপেক্ষে তারা বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন। আর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরির জন্য মনোনীতদের ২ এপ্রিল, সে বিষয়ক কমিটির সভা থেকে অনুমোদন দেয়া হবে।
Development by: visionbd24.com