রাজধানীর ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ভবনে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লাগার ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানি হয়েছে। ধানমন্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরা মারা যান। এদিকে এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন পাঁচজন। তাঁদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। অপর আহত আটজনকে নেওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

রবিবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটিতে বিস্ফোরণ হয়। নিহতরা হলেন- তুষার (৩৫), শফিকুজ্জামান ও আব্দুল মানান। তাঁরা ওই ভবনের তৃতীয় তলার লায়রা প্রোডাক্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন।

পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে এলে তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘ভবনটি বর্তমানে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবনের তৃতীয় তলায় ফিনিক্স ইন্সুইরেন্স ও লায়রা প্রডাক্ট নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম পেয়েছি। নিহতের মধ্যে তুষার লায়রা প্রডাক্ট নামের প্রতিষ্ঠানটির কম্পিউটার অপরেটর, শফিকুজ্জামানের বাড়ি শরীয়তপুর তিনিও কম্পিউটার অপরেটর ছিলো। এছাড়া নিহত আব্দুল মান্নানের বাড়ি লালবাগ এলাকায়। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী ছিলেন।’

এ ঘটনায় দগ্ধরা হলেন সৈয়দ আকবর (৫২), আশরাফুজ্জামান (৩৬), আশা (২৫), জহুর আলী (৫২), হাফিজুর রহমান (৪৫)। আহত হয়ে ঢামেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন জাকির হোসেন (৩৫), মেহেদি হাসান (২৫), অজ্ঞাতনামা (৩০), রাবেয়া খাতুন (১৭), কবির হোসেন (৩২), তাজ উদ্দিন (৪৫), নুর নবী (২৪) ও কামাল হোসেন (৪০)।

বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন জানান, এখানে পাঁচজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুই থেকে তিনজনের অবস্থা খুবই গুরুতর।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহত আটজনকে আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের সবারই মাথায় আঘাত আছে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।

উল্লেখ্য, বেলা ১০টা ৫০ নাগাদ সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ওই ভবনে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিস্ফোরণে তিনতলা ভবনের এক পাশের আংশিক দেয়াল ধসে পড়েছে।