দিনটি ছিল ২০০০ সালের ২০ জুলাই। এই দিন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভা করার কথা ছিল। সভাস্থলে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালান হুজি তথা জঙ্গিগোষ্ঠী হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নান। তাঁর সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি। জনসভার আগের দিন সকালে সভাস্থলের পাশের চায়ের দোকানদার বদিউজ্জামান সরদার পুকুরে চায়ের কেটলি ধুতে গিয়ে একটি তার দেখতে পান। আশপাশের লোকজনকে ডেকে তারটি দেখান বদিউজ্জামান।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। শুরু হয় তল্লাশি। সন্ধান মেলে ৭৬ কেজি ওজনের বোমার। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১৯টি বছর। এ নিয়ে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এরই মধ্যে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতার ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। ঘোরেনি বদিউজ্জামান সরদারের ভাগ্যের চাকা।
সম্প্রতি বদিউজ্জামান সরদার উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সোহরাব হোসেন হাওলাদারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে সক্ষম হন। সোহরাব হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘গত ২৭ জানুয়ারি বদিউজ্জামান সরদারকে নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করি। প্রধানমন্ত্রী বদিউজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর কুশল জানতে চান। এরই সুবাদে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দপ্তরে বসে বদিউজ্জামানের হাতে ৫০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।’
Development by: visionbd24.com